সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান বলেছেন, লুট হওয়া অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া নথিপত্র পুনরুদ্ধারে আদালতের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়েছে, গাড়ি পুড়িয়েছে। এসএমপির সবকটি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত লামাবাজার, বন্দরবাজার ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কার্যক্রম স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। অন্যদের কাজে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তিনি বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয়টি থানার স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই পুলিশের সব সেবাদান কার্যক্রম আবার চালু হবে। ইতোমধ্যে সিলেটের থানাগুলোর কর্মকর্তারা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। বাকিরাও খুব তাড়াতাড়ি কর্মস্থলে ফিরবেন। তবে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে সিলেট মহানগর এলাকায় সড়কে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে নামবে ট্র্যাফিক পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) জোবায়েদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. মাসুদ রানা, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. সোহেল রেজা, কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ওসি নুনু মিয়াসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক ঘটনায় সিলেট রেঞ্জের আওতাধীন ৩৯টি ও মেট্রোপলিটন এলাকার ৬টি থানা এবং ৩টি ফাঁড়িতে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর হয়েছে।