বগুড়ায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে দলটি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
এ ছাড়া জেলায় দলের নেতা বা কর্মীরা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে দলকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বগুড়া জেলা ডায়াবেটিক সমিতির গঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে ডা. মামুনুর রশিদ নামে এক বিএনপি নেতার নাম গণমাধ্যমে প্রকাশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেই বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ডা. মামুনুর রশিদ মিঠু দাবি করেন, তাকে না জানিয়েই আহ্বায়ক কমিটিতে তার নাম যুক্ত করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বগুড়ায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের কোনো কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তিনি দেশে কবে ফিরবেন এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আমরা বিশ্বাস করি যখন সময় হবে তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমান বগুড়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির ২ নম্বর সদস্য। ১ নম্বর সদস্য হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বগুড়ায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহারে দলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা, শহর বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী হিরু ও দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল উপস্থিত ছিলেন।