• শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা ও এস আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আবিদুর রহমান সুমন / ১৮৩ Time View
Update : শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

বাঁ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিল্পপতি এস আলম। ছবি : সংগৃহীত

গার্মেন্টস কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম ও তার ২ ছেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু চন্দ্র বণিক।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) এবং তার দুই ছেলে- আহসানুল আলম মারুফ (৩০) ও আশরাফুল আলমকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন শেখ হাসিনারবোন শেখ রেহেনা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির ছোট ভাই ও ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহানী, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাকিব আল হাসানসহ ১৫৬ জন। এছাড়া এ আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামাসহ আ.লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আদাবর থানাধীন রিং রোডে এক প্রতিবাদী মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন গার্মেন্টস কর্মী মো. রুবেল। পরবর্তীতে তাকে গ্রিন রোড সেন্ট্রাল হসপিটালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অপারেশন পরবর্তী আইসিইউ স্বল্পতায় সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট সকাল ১০টায় মারা যান রুবেল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category