• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

পানি কমলেও সেতু ভেঙে দুর্ভোগ চরমে

আবিদুর রহমান সুমন / ১১৩ Time View
Update : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

বন্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। ভোগান্তিতে প্রায় দুই সহস্রাধিক মানুষ। নিচু এলাকার পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। এরইমধ্যে দুটি কাঠের সেতু ভেঙে আরও ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বন্যার পানি কমার পর ক্ষতচিহ্ন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ভারি বৃষ্টির ফলে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। গোমতি মাটিরাঙ্গা, তাইন্দং মাটিরাঙ্গা সড়কে এসব পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এক স্থানের সড়কের মাটি সরানো শেষ হলে আরেক স্থানে ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কে পানি ওঠার ফলেও যান চলাচল ব্যাঘাত ঘটে।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর ও বড়ঝালাসহ ছয় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। ওই এলাকায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি মসজিদ একটি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। এসব অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দুটি কাঠের সেতুই ছিল প্রধান ভরসা। ঝুঁকি নিয়ে ঝুলন্ত কাঠের সাঁকো পার হওয়ার সময় ঘটেছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। তাছাড়া সময়মতো রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারায় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটছে বহু। কিন্তু বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে সেই সেতু দুটিও। ফলে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন বলেন, বছরজুড়ে ধলিয়া খালে পানি থাকে। ফলে ভোগান্তি মানুষের পিছু ছাড়ে না। এবারের সৃষ্ট বন্যায় দুটি সেতুই নষ্ট হয়ে যায়। জনদুর্ভোগ লাঘবে ধলিয়া খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বন্যাদূর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। বড়ঝলা ও মোহাম্মদ পুর এলাকায় সেতু ভেঙে যাবার বিষয়ে অবগত রয়েছি। তবে এটা পৌরসভার দায়িত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ এটা নির্মাণের দায়িত্ব নেবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category