ঢাকার আশুলিয়ায় হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ইন্সপেক্টর আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩ (র্যাব)। গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ মরদেহ ভ্যানে তোলা ও আগুনে পোড়ানো ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী আফতাবনগর থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে একই ঘটনার অভিযুক্ত আব্দুল্লাহিল কাফিকে গ্রেপ্তার (ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সময় সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
এদিকে ৩০ আগস্ট সারা দিন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে একটি লাশ নিক্ষেপ করছেন। ভ্যানে লাশের স্তূপ করে ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেন তারা।
ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে দেখা যায়, স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের একটি পোস্টার। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার আশপাশে। মহাসড়ক থেকে থানার দিকে অগ্রসর হয়ে এসবি অফিসের দিকে চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম আল ফেসানী পৃথক দুটি অভিযোগ করেন।