• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

ফ্যাসিবাদে জড়িত কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্য উপদেষ্টা

আবিদুর রহমান সুমন / ৮৪ Time View
Update : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যাঁরা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যাঁরা বিভিন্ন লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করে গণহত্যার পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন এবং গণহত্যার জন্য উসকানি দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মামলাগুলো সরকার করছে না; জনগণ তাদের জায়গা থেকে করছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও মামলা করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হলে তাঁকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে; তাহলে তাঁর ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা তাঁর বিষয়টি দেখব।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়। আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করতে হচ্ছে, সেহেতু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ সংস্কার করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে আনা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’ সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।’

একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাতে এ ধরনের গুজবের সত্যতা যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়; মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়; সে জন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।’

এর আগে নাহিদ ইসলাম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড’ এবং জুরিবোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category