• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পদ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ এমপির চিঠি

আবিদুর রহমান সুমন / ৮৮ Time View
Update : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্রিটেনে থাকা সম্পদ জব্দ করে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারের কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি এসব সহায়-সম্পত্তির বিষয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।

আপসানা চিঠিতে উল্লেখ করেন- বাংলাদেশের সাবেক এই মন্ত্রীর এসব সম্পত্তিতে দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক অপরাধের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

চিঠিতে আপসানা বলেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীর দমনপীড়নে কয়েকশত মানুষ নিহত হন। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইতোমধ্যেই করসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের অধীনে রয়েছেন। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে এবং দাবি করেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি এবং ইউকে কোম্পানি হাউসের রেকর্ডগুলোর বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলো কমপক্ষে ২৮০টি সম্পত্তি রয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি পাউন্ড। আল-জাজিরার তদন্তে জানা গেছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী আমার নির্বাচনী এলাকা পপলার ও লাইমহাউসে ৭৪টি সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

ব্রিটিশ ওই এমপি লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি, প্রশ্নবিদ্ধ এসব সম্পত্তি বাংলাদেশের। সেগুলো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে তারা গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত একটি সমাজের জন্য কাজ করতে পারে। দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জীবন মান, কর্মস্থলের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এনসিএ মহাপরিচালকের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেওয়া শুধু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তি ও তাদের ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখার জন্যও অপরিহার্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category