বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার লক্ষ করে গুলি করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চার জন জেলে। এ ছাড়া ৬০ মাঝিমাল্লাসহ চারটি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নানাভাবে শুনেছেন জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন এ ঘটনায় ১জন নিহত ও চার জন আহত হয়েছে।, মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়ার বাচু মিয়ার ছেলে। তাৎক্ষণিক গুলিতে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতরা সবাই শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে বলে জানা গেছে।
অপহরণ করা চারটি ট্রলারের মালিকরা হলেন শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতাউল্লাহ এবং উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। ট্রলারগুলোয় ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন।
ট্রলার মালিক সাইফুল বলেন, বুধবার সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি করে। এতে তার ট্রলারের চার জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজন মারা যান। এরপর পাঁচটি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তার ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি।
অন্য ট্রলার মালিক মতিউর রহমান বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নিহতকে নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’