অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, তার স্ত্রী, মা, ভাই, চাচা ও শশুরসহ ১২ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক নোটিশে তাদেরকে আগামী ৩১ অক্টোবর ও ৩ নভেম্বর হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদক উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন স্বাক্ষরিত এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদেরকে ডাকা হয়েছে।
তলবকৃতদের মধ্যে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, তার স্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক শিরিন আক্তার, মা ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জহুরা খাতুন চেয়ারম্যান, ভাই ও এমডি এবিএম শাহরিয়ারকে ৩১ অক্টোবর হাজির হতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে হারুন অর রশীদের চাচা ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, মো. মতিউর রহমান, খালা মোছা. মিনারা বেগম, মামা মো. সুমরাজ মিয়া, ব্যবসায়িক অংশীদার মো. আলাউদ্দিন আল সোহেল, রাকিব উদ্দিন দেওয়ান রতন এবং চাচাতো ভাই আল রাসেলকে ৩ নভেম্বর হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
গত ১৮ আগস্ট আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরের দিন ১৯ আগস্ট সংস্থাটির উপপরিচালক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযোগ আছে, বিগত সরকারের সময় প্রভাবশালী পুলিশের এই কর্মকর্তা রাজধানীতে দুই ডজনেরও বেশি আলিশান বাড়ি, অগণিত ফ্ল্যাট ও প্লট, নামে-বেনামে অন্তত তিনটি রিসোর্টের মালিকানা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই ও জেদ্দাসহ অন্তত ছয়টি দেশে ব্যবসা গড়েছেন অঢেল টাকার।
অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক, সাব রেজিস্ট্রি, পাসপোর্ট, নির্বাচন কমিশনসহ অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন হারুন।