লন্ডনে চিকিৎসার জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টা ১৪ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে ক্রিম কালারের একটি গাড়িতে করে তিনি বিমানবন্দরের দিকে রওনা হন।
রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সোমবার ঢাকায় পৌঁছানো এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি শাহজালাল বিমানবন্দরের টারমাকে রাখা হয়েছে।
ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে বিদায় জানান।
এদিকে, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রাকে কেন্দ্র করে তার বাসভবন এবং আশপাশের এলাকায় বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। বাসভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কজুড়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন এবং খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সন্ধ্যার দিকে গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের একটি লাগেজ বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে বলে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরের পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছেন। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ রুটে সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে কিছু বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
লন্ডনে যাওয়ার আগে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেছেন, “চার বছর গৃহবন্দি থাকার পর আমি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছি। দেশবাসীর দোয়ায় আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসবো।”