লাদাখে চীনের যুদ্ধ মহড়া: উত্তেজনার নতুন অধ্যায়
পূর্ব লাদাখের হাড় কাঁপানো শীত ও কঠিন আবহাওয়ার মধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বড় ধরনের যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এই মহড়া মূলত ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, বরফে ঢাকা লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-এর অত্যন্ত উচ্চ এলাকায় পিএলএর ঝিংজিয়ান সেনা কমান্ডোর একটি রেজিমেন্ট এই মহড়া সম্পন্ন করেছে। মহড়ায় অস্ত্রশস্ত্র চালনার পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি, ড্রোন এবং অন্যান্য আধুনিক সরঞ্জাম।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, চীনের এই কার্যক্রমকে যুদ্ধের উস্কানি হিসেবেই দেখছে ভারত।
২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র রক্তপাত হয়, যেখানে দুই পক্ষের বহু সেনা প্রাণ হারান। এর পর চার বছরের দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে দুই দেশ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর সমঝোতায় পৌঁছায়।
তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত সেনা সরানো হলেও চীন হয়তো বড় কোনো পরিকল্পনা করছে।
চীনের এই মহড়ার খবর সামনে আসতেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে চলে গেছে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্রে এমন মহড়া চালিয়ে পিএলএ নিজেদের চরম পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে সামরিক কার্যক্রমের এই ধারা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
উপসংহার:
পূর্ব লাদাখে চীনের এই সামরিক মহড়া দুই দেশের মধ্যে আবারও নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।