চট্টগ্রামে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি: অনুসন্ধানে দুদক
চট্টগ্রামের নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁর বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।”
জানা গেছে, নওরোজ এন্টারপ্রাইজ সামান্য ব্যবসার আড়ালে ব্যাংক মালিকের বিশেষ আগ্রহে বিপুল অংকের ঋণ পেয়েছে। এর ফলে ঋণ শোধ না করেও বিলাসী জীবনযাপন করেছেন নাজমি নওরোজ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের টাকা খেলাপি না দেখিয়ে দীর্ঘদিন অশ্রেণিবদ্ধ (আনক্লাসিফায়েড) অবস্থায় রেখেছে।
ঋণের হিসাব:
নাজমি নওরোজ ২০১১ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড় মহিলা শাখার মাধ্যমে লেনদেন শুরু করেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবুও ঋণের অর্থকে অশ্রেণিবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছিল।
ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় একাধিক কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দেওয়া হয়েছে। যদিও ব্যাংক মালিকপক্ষ নাজমি নওরোজকে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখাতে চায়নি। অবশেষে ২০২3 সালের আগস্টে তাকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করে পাওনা আদায়ে মামলা করা হয়।
দুদক এখন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।