চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি আমগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বিজিবি ভারতীয়দের এ কার্যক্রম প্রতিহত করে।
বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং স্বীকার করা হয় যে গাছ কাটা অন্যায় হয়েছে।
৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, “আমাদের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের মাঝামাঝি ১৭৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে বাংলাদেশি কিছু আমগাছ ছিল। এসব গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দেশের মানুষ শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমরা সীমান্তে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করেছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিজিবি জনগণের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।”
এ ঘটনায় কিছু লোক আহত হয়েছে এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বিএসএফ মব কন্ট্রোল করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। উল্লেখযোগ্য কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।”
সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা এখন প্রশমিত হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।