• শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

গণঅধিকারের একাংশের নতুন নাম ‘আমজনতা দল’

আবিদুর রহমান সুমন / ৬৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নতুন পরিচয়: ‘আমজনতার দল’

গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশ নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে ‘আমজনতার দল’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পুরানা পল্টনে প্রতীম জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান এ ঘোষণা দেন।

নতুন নামকরণের উদ্দেশ্য

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, “আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, গণঅধিকার পরিষদ এখন থেকে ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে। এ পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরও সরাসরি সংযোগ স্থাপনের নতুন প্রয়াস।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনকে আরও সুসংহত ও বিস্তৃত করা। দেশকে একটি স্বনির্ভর, সার্বভৌম, এবং সুশাসননির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”

নাম পরিবর্তনের কারণ

সংগঠনের নাম পরিবর্তনের পেছনে ব্যাখ্যা দিয়ে মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ২০২৩ সালের ২০ জুন গণঅধিকার পরিষদ অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক নামে দুই দলের কার্যক্রমের কারণে বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানে এবং আগ্রাসনবিরোধী লড়াই আরও সুসংগঠিত করতে ‘আমজনতার দল’ নামে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখা এবং গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া।”

মূলনীতি ও স্লোগান

‘আমজনতার দল’-এর মূলনীতি তিনটি:

  1. সার্বভৌমত্ব
  2. স্বনির্ভরতা
  3. সুশাসন

দলটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে: “স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি।”

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেজা কিবরিয়া আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পর নুরুল হক নুর এবং রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি অংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে আরেকটি অংশ গঠিত হয়।

নুরুল হক নুর ও মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দুই অংশই যুগপৎভাবে বিএনপির সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেয়। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন অংশ ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও পেয়েছে।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, “আমাদের সংগঠন অতীতে যেমন গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করেছে, ভবিষ্যতেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আমরা দোয়া চাই, যেন আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে পারি।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category