পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য ভারতকে বারবার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দিল্লির পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার লাগাতার বিবৃতির কারণেই ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে নেমেছে ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা জানতাম, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। সরকার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।”
তিনি আরও জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।
এপ্রিলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে নিশ্চিত করে তৌহিদ হোসেন বলেন, “ঢাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে চায়।” পাশাপাশি, ভারতীয় কোম্পানি আদানির সঙ্গে করা চুক্তিতে দেশের স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলার ঘটনাকে “অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে জনমনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ঘটনায়।”
সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করে শেখ হাসিনার বক্তব্য বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।