বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যেই আজ রবিবার দুপুরে আবারও মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সেবা ও ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপসহ মেটার সব প্ল্যাটফর্মের সেবা বন্ধ আছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ রবিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোথাও আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি। বন্ধের কোনো নির্দেশও দিইনি। কোথাও কোথাও ইন্টারনেটের সমস্যা হচ্ছে। এটা আমাদের নির্দেশনার কারণে নয়।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল ও ইন্টারনেট পরিচালনার অনেক স্থাপনায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় হামলা চলছে। ফাইবার ক্যাবল কেটে দেওয়া হচ্ছে। আজও আমাদের কয়েক জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছে। অনেক এলাকায় কেটে (ক্যাবল) ফেলা হয়েছে। এমন তাণ্ডব চালালে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করাতো সম্ভব নয়।’
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। তবে বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া বন্ধ ছিল টিকটকও। এরপর গত ৩১ জুলাই দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়।