• শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

ছয় মাসে আইন মন্ত্রণালয়ের কাজের হিসাব দিলেন উপদেষ্টা

আবিদুর রহমান সুমন / ৫৯ Time View
Update : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হলো আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। এই সময়ে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে নানা সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল জানান, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, ৩৬ ধরনের ডকুমেন্টের সত্যায়ন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করা হয়েছে, যা গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে জনসাধারণের হয়রানি কমেছে এবং অর্থ ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে।

‘গায়েবি’ মামলা চিহ্নিত করে সেগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিবাহ নিবন্ধনে থাকা অতিরিক্ত কর বাতিল করা হয়েছে। সাইবার আইন সংশোধনের কাজ চলছে এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ হয়েছে। যোগ্য ও অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ নিশ্চিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ সংশোধন করে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যেমন:

  • বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দাখিল
  • অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন
  • দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন যুগোপযোগীকরণ
  • বিচারব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন
  • স্থায়ী সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা
  • দেশের ২৩ জেলায় নতুন আদালত ভবন নির্মাণ
  • পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন ডিজিটালাইজেশন

এছাড়া, বিচার বিভাগে নতুন বিচারক ও আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, আদালত অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আইনি সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে নতুন তদন্ত ও প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে এবং একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের দমন-পীড়নে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যকরভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category