জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করে এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খুনের বদলা নেব বলে মন্তব্য করেছেন তার ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে পিরোজপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার আমার আব্বাকে কারাগার থেকে টেনে হাসপাতালে এনে মাত্র ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। আমরা আব্বাকে দেখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওই হাসপাতালের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরেছি, কেঁদেছি। একটিবারের জন্য সাক্ষাৎ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদের সাক্ষাৎ করতে দেয়নি। তাকে হত্যা করার পর মৃতদেহ আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আব্বার মুখের শেষ কথাটাও শুনতে পারিনি।
এ সময় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদী বলেন, গত ১৫ বছর বুকে পাথর চেপে থাকা এই সরাকারের কারণে আমরা ঘরের ভেতরেও কথা বলার সুযোগ পাইনি। এই নিরাপরাধ ব্যক্তিকে (সাঈদী) ১৩টি বছর কারাগারের মধ্যে বন্দি রেখে শেষ পর্যন্ত ফাঁসি দিতে পারেনি। তারপর তাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নিয়ে হত্যা করে।
আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামীম সাঈদীর সভাপতিত্বে শনিবার বিকেলে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের এ সভায় পিরোজপুরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। বিকেল ৪টার আগেই পিরোজপুর সাঈদী ফাউন্ডেশনের মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।
পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক ও পৌর আমির আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা ফখরুদ্দীন আল রাজী, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন ফরিদ, যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমিশনার আব্দুস সালাম বাতেন, যুদ্ধকালীন ইয়ং অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মুনানসহ আরও অনেকে।