এস আলম গ্রুপ কর্তৃক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির প্রায় ৮২ শতাংশ শেয়ার ধারনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শেয়ার হোল্ডারা এবং গ্রাহকরা।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, বিনীত নিবেদন এই, আমি/আমরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শেয়ার হোল্ডার এবং এই ব্যাংকের শুরু থেকেই আমি/আমরা এই ব্যাংকের সাথে যুক্ত। আপনারা জানেন বিগত বছরসমূহে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর এক বিশেষ অবস্থার মধ্য দিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছে। এস আলম গ্রুপ দেশের প্রচলিত আইনকানুনকে অত্যন্ত সুকৌশলে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন অবৈধ পন্থা ও প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ/(ঋন) সৃষ্টির মাধ্যমে সেই অর্থ দিয়ে দেশ এবং বিদেশের একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় দেখিয়ে ব্যাংকের মালিকানা নিজেদের কাছে নিয়ে নেয়। একই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের দীর্ঘদিনের শেয়ার হোল্ডারদের তাদের ধারণকৃত শেয়ারসমূহ বিক্রি করতে বাধ্য করার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মতো রাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রেটেজিক ব্যাংকের মোট শেয়ারের প্রায় ৮২ শতাংশ নিজেদের মধ্যে কুক্ষিগত করে নেয়। আপনারা আরও অবগত আছেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী সফল ছাত্র আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে এক অবিস্মরণীয় গণবিপ্লবের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এমতাবস্তায় একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী শাসনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ তার শেয়ার (যা একদিকে অবৈধ পন্থা ও প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ/(ঋণ) সৃষ্টির মাধ্যমে সেই টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত এবং অন্যদিকে বৈধ শেয়ারধারীদের শেয়ার বিক্রিতে বাধ্য করার মাধ্যমে অর্জন করা শেয়ার) সমূহ তদন্তের পূর্বে যাতে বিক্রি করতে না পারে সে জন্য আপনাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নির্ভর যোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে আমাদের নিকট সংবাদ রয়েছে যে মোট ২৪ টি কোম্পানির নামে বর্তমানে শেয়ারসমূহ ধারণ করা হচ্ছে। কোম্পানিসমূহের বিপরীতে ধারনকৃত শেয়ারের বিস্তারিত সংযুক্তির মাধ্যমে প্রদান করা হলো।
জনাবের নিকট বিনীত নিবেদন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মতো রাষ্ট্রের একটি স্ট্রেটেজিক ব্যাংকের লক্ষ লক্ষ আমানতকারী এবং সাধারন শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাধিত করবেন।