• সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা বাতিল

আবিদুর রহমান সুমন / ৬১ Time View
Update : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আদালতকে বলেছি একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে।

ইশরাক আহমেদ বলেন, মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে আসামিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারনি বাদী। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন।

২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর কথিত ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া এবং জাতির জনককে অবমাননার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় এ অভিযোগটি করা হয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন এ অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পাতা থেকে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেসবুকে।

এরপর বিভিন্ন স্থানে ইরাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আসামি করে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category