নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়েছে। তাদের স্থলে এখন দায়িত্ব পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা।
২৭ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ দায়িত্ব পরিবর্তন করেন।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কেন্দুয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত আছেন। প্যানেল চেয়ারম্যানরাও কাজ না করায় দাপ্তরিক ও নাগরিক সেবামূলক কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটছে। এতে নাগরিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ১০১ ও ১০২ অনুসারে কেন্দুয়া উপজেলার ১১টি ইউপিতে কর্মকর্তাদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়নগুলো হলো—২ নং আশুজিয়া, ৩ নং দলপা, ৪ নং গড়াগডোবা, ৬ নং সান্দিকোনা, ৭ নং মাসকা, ৮ নং বলাইশিমুল ১০ নং কান্দিঊড়া, ১১ নং চিরাং, ১২ নং রোয়াইলবাড়ী, ১৩ নং পাইকিড়া এবং ১৪ নং মোজাফরপুর ইউনিয়ন।
এ বিষয়ে অপসারিত পাইকিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির আলী ভূঞা বলেন, আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে আমরা মাঝেমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও সঠিকভাবে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বলার কিছু নেই।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইউপি চেয়ারম্যানরা মাঝেমধ্যে পরিষদে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শতভাগ সেবা দিতে পারছিলেন না মানুষকে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছিল বিধায় জেলা প্রশাসক এই আদেশ জারি করেন।